আগে থেকেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করার ক্ষমতা নিয়ে এক বাচ্চার জন্ম হয়েছে চীনের শেনজেন প্রদেশে। আর এটা সম্ভব হয়েছ বাচ্চা গর্ভে থাকাকালীন তাঁর মা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হন এ কারনে। বাচ্চার মায়ের আসল বাড়ি হলো চীনের হুবেই প্রদেশে, ঠিক যেখান থেকে এই ভাইরাস প্রথম ছড়িয়ে পড়ে।
ডাক্তাররা বলছেন, বাচ্চাটি প্রকৃতিগত ভাবেই তাঁর মায়ের থেকে করোনাভাইরাস অ্যান্টিবডি নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে । যা আসলেই এক অবিশ্বাস্য ঘটনা।
শিয়াওয়ু ছদ্মনামের মহিলাটি এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হোন। যদিও তাঁর কোন লক্ষণ ছিলনা। তারপর দশদিনের চিকিৎসায় তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যান। আর বাচ্চার জন্ম দেন মে মাসের ৩০ তারিখ চীনের শেনজেন শহরে। এই শহরেই তিনি কাজ এবং বসবাস করেন।
বাচ্চা এবং বাচ্চার মা দুজনেই বর্তমানে ভালো আছেন এবং তাদেরকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেয়া হয়ছে। তবে তাঁর আগে তাদের দুজনকেই করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয় এবং নেগেটিভ আসে দুজনেরই।
চীনের সামাজিক যোগাযোগে ইতিমধ্যে এ নিয়ে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বাচ্চার মা শিয়াওয়ু তাঁর স্বামীর সাথে এই বছরের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি উহানে তাঁর পরিবারের সাথে নতুন বছর পালন করতে আসে। আর এখান থেকে তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। পরে জানুয়ারি মাসের ২৩ তারিখ উহানকে লকডাউন করে দেয়া হয়।
প্রথমে শিয়াওয়ুর মা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হন। কিন্তু তিনি এবং তাঁর স্বামীর করোনাভাইরাস নেগেটিভ আসে। দীর্ঘ দুইমাস উহানে লকডাউন থাকার পর তারা শেনজেনে ফিরে আসেন।
শেনজেন আসার পর এপ্রিলের প্রথম দিকে তিনি গর্ভকালীন পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যান এবং এখানেই তাঁর করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। এবং তাঁর কোন লক্ষণ না থাকার পরও কোভিড ১৯ শরীরে বাসা বেধেছে।

দশদিনের চিকিৎসায় তিনি ভালো হয়ে যান এবং পরে সুস্থ বাচ্চার জন্ম দেন।
এদিকে উহানে থাকাকালীন এই মহিলার ছয়বার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয় এবং প্রতিবারই নেগেটিভ আসে। এখন বাচ্চার ও নেগেটিভ এসেছে। এবং বাচ্চার কোভিড ১৯ প্রতিবেদন দেখে মনে হচ্ছে করোনাভাইরাস অ্যান্টিবডি নিয়ে জন্ম নিয়েছে।
তবে ডাক্তাররা এই বাচ্চা এবং বাচ্চার মাকে নিয়ে আরো গবেষণা করতে চান। তাদের ধারনা হয়তো নতুন করে কোন কিছু পাওয়া যেতে পারে এদের থেকে। হাসপাতাল সুত্রে এমনটাই বলা হয়ছে।