সম্প্রতি করোনাভাইরাসের জেরে অস্ট্রেলিয়াতে চাইনিজ এবং এশিয়ানদের উপর বর্ণ বৈষম্য বেড়ে যাওয়াই চায়নিজ সরকার সেদেশের নাগরিকদের অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণে সতর্ক করে দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
চায়নিজ এক ম্যাগাজিনে সেদেশের ছাত্রদের অস্ট্রেলিয়াতে পড়তে যাওয়াই সতর্ক থাকার আহবান জানানো হয়।
চীনা সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এক সতর্কতা জারি করে যাতে “চীনা ও এশীয় জনগণের” উপর বর্ণবাদী আক্রমণ “উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধি” হওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে চায়না কোন নির্দিষ্ট ঘটনাকে উল্লেখ করতে চাইনি।
“কোভিড -১৯ মহামারীর প্রভাবে অস্ট্রেলিয়ায় চীনা ও এশীয় জনগণের বিরুদ্ধে জাতিগত বৈষম্য এবং সহিংসতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে,” মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়।
“চীনা সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয় পর্যটকদের সুরক্ষা সচেতনতা বাড়াতে এবং অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ না করার জন্য মনে করিয়ে দেয়।”
তবে অস্ট্রেলিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী মাইকেল ম্যাককর্ম্যাক অস্ট্রেলিয়ায় বর্ণবাদী হামলার সংখ্যা বাড়ার এই দাবী প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তিনি বলেন, চীনা জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতার প্রকোপ বাড়েনি। “কেন এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তা আমি জানি না, আমি শুধু বলতে পারি যে বক্তব্যটি সত্য নয়।”

করোনাভাইরাস শুরুর পর থেকে চায়নিজ এবং এশিয়ানদের উপর অস্ট্রেলিয়াতে বর্ণ বৈষম্য বেড়ে যায়। এমনকি পাবলিক প্লেসগুলোতে ও হামলার ঘটনা ঘটে। যার বেশিরভাগই সোস্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়।
তবে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে এসব ঘটনাকে মিথ্যা বলে দাবী করা হয়। এবং তারা আবার চাইনিজ নাগরিকদের ভ্রমণে উৎসাহিত করার কথা বলেন।
অনেক চাইনিজ অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন সোস্যাল মিডিয়াতে। চায়নার টুইটার খ্যাত উইবোতে এই পোষ্টে ১৬ হাজারের বেশি মন্তব্য পড়ে। আর এই ধরনের পোষ্ট গুলো এখন চাইনিস উইবোতে সবচেয়ে বেশি পড়া হচ্ছে।