প্রায়ই আমরা খবরের পাতায় দেখি যে হাতি লোকালকে চলে আসে খাবারের সন্ধানে। অনেক মানুষকে আহত করে , বাড়ি ভাংচুর করে, ফসলের ক্ষতি করে। কিন্তু আজকের কাহিনিটা আসলেই বেদনাদায়ক।
ভারতের বন অধিদপ্তরের সুত্রে জানানো হয় যে, গত মাসের ২৭ তারিখ এক হাতিকে পাওয়া যায় কেরালা রাজ্যের ভেলিয়ার নদীতে। অফিশিয়াল সুত্রে জানানো হয়, কে বা কারা একটি ফলের মধ্যে পটকা ভরে হাতিকে খেতে দেয়। পরে হাতিটির মুখের মধ্যেই পটকা ফাটতে শুরু করে। এতে করে হাতিটির মুখ, চোয়াল এবং জিহ্বা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

হাতিটি সাথে সাথে মারা যায়না। সাতদিনের এক হৃদয়বিদারক ঘটনার জন্ম দিয়ে হাতিটি অবশেষে মারা যায়।
ময়নাতদন্তের সাথে জডিত একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে হাতিটি একমাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলো। এবং পটকা ফাটার সাথে সাথে হাতিটি পানিতে নেমে যায় এবং টানা তিন দিন সেখানেই দাড়িয়েই ছিলো।
অন্য একটি সুত্রে বলা হয়, সীমান্ত এলাকায় প্রায়ই কিছু ব্যক্তি তাদের ফসল বাচাতে ফলের মধ্যে পটকা ভরে শুয়োর মারে। তবে এই হাতিটিতে আনারসের মধ্যে পটকা পরে মারা হতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং অনেকেই বলেন হাতিটি হয়তো বাচ্চাটাকে বাচানোর জন্য পানিতে নেমে গেছিলো। সাধারণত হাতিকে আক্রমণ করা হলে তারা মানুষের বাড়িঘর, ফসল ক্ষতি করে। সেক্ষত্রে এই হাতিটি কিছুই করেনি। এমনকি মানুষ তাকে বাচানোর জন্য আসলেও সে আর মানুষের কাছাকাছি আসেনি। এটি আসলেই করুন একটি কাহিনি।
“আমরা তাকে ভালোভাবে কবর দিতে চাই এটা তার প্রাপ্য। আমরা ইতিমধ্যে তার লাশটি একটি লড়িতে করে বনের ভিতর নিয়েছি। তার লাশটি সমাধি করা হবে যেখানে সে বড় হয়েছে, খেলা করেছে। আমরা শুনেছি সে একা ছিলোনা তার একজন সঙ্গী ও ছিলো। আসলেই খুবই দুংখজনক। আমরা আমাদের সাধ্যমত তাকে সম্মান জানানোর চেষ্টা করেছি।” কথাগুলো বন বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন।
ইতিমধ্যে ফেসবুক টুইটার এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিবাদের ঝড় বইছে এই বিষয়ে। সবাই এই বিষয়টা নিয়ে নিজেদের মতামত জানাচ্ছেন। করোনাভাইরাসের এই কালে আমাদের আরো মানবিক হতে হবে।