বিক্ষোভে সারা আমেরিকা জ্বলছে। প্রতিদিনই বাড়ছে বিক্ষোভে মানুষের সংখ্যা। এসব বিক্ষোভ দমাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। তাইতো ট্র্যাম্প বলেছেন কঠোরভাবে এসব বিক্ষোভ দমানো হবে।
গত মাসের ২৫ মে মিনেয়াপোলিসে ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েড নামের সাবেক এক কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়ার স্থানীয় পুলিশের হাতে নিহত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে সহিংসতা শুরু হয়। দশ মিনিটের এক ভিডিওতে দেখা যায় এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ জর্জ ফ্লয়েড নামের ঐ ব্যক্তির ঘাড়ে চাপা দিয়ে ধরে রাখেন। তিনি শ্বাস নিতে পারছিলেন না। পরে হাসপাতালে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এই ঘটনার পর থেকেই মিনেয়াপোলিস শহর থেকে প্রথমে বিক্ষোভের শুরু হয়। সেখানে সাতদিন বিক্ষোভ চলে। ধীরে ধীরে এই হত্যার প্রতিবাদে সারা দেশেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
খোদ আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ভবন হোয়াইট হাউসের সামনেই অনেক মানুষকে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। এমনকি ট্র্যাম্প সাহেব নিজেও ভয়ে হোয়াইট হাউজের নিচে বাঙ্কারে যেতে বাধ্য হন।
আর তাইতো তিনি বেজায় চটেছেন প্রতিবাদকারীদের উপর। তিনি ২০০ বছরের পুরনো আইনে নিজ ক্ষমতাবলে সেনা মোতায়েনের হুমকি দিয়েছেন। ইতিমধ্যে বেশ কিছু শহরে কারফিউ জারি হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি বাহিনীকে বিক্ষোভ মোকাবিলায় নামানো হয়েছে।
তারপরও মানুষ কারফিউ ভেঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। পুলিশকে রাত ১২ টা পর্যন্ত বিক্ষোভ এলাকায় দেখা গেছে।
আমেরিকায় করোনাভাইরাসের কারনে ইতিমধ্যে ১ লক্ষের বেশি মানুষ মারা গেছে। তার মধ্যেই আবার এই প্রতিবাদের আগুন। করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ নিউইয়র্কে বেশ কিছু জায়গায় মানুষকে লুটপাট করতে দেখা গেছে।