করোনাভাইরাসের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা হলো হাসপাতাল। এর থেকে আর কোন জায়না নেই যেখানে বেশি ঝুঁকি নিয়ে কেউ কাজ করে। কারন প্রতিদিন হাজারো মানুষ ভিড় করে হাসপাতালে কেউবা করোনা পরীক্ষা করার জন্য আবার কেউ অন্য কাজে। যেসব হাসপাতালে করোনা রোগী নেই সেসব হাসপাতালেও ঝুঁকি কম না।
যদিও প্রতিটা হাসপাতালকে সবসময় জীবাণুমুক্ত করা হয়। এবং মাস্ক এবং দূরত্ব বজায় রাখা হয় তারপরও যেকোন হাসপাতাল অনেক ঝুকির মধ্যে থাকে করোনার জীবানু ছড়ানোর জন্য। কিন্তু আসলে কতোটা ঝুকির ভিতর থাকে এবং কত দ্রুত একটি হাসপাতালে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে?
ব্রিটেনের লন্ডন কলেজের সাম্প্রতিক এক গবেষণা অনুসারে, একটি ভাইরাস মাত্র তিন দিনের মধ্যে যেকোন হাসপাতালের বেশিরভাগ পৃষ্ঠে খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।
আর এটি পরীক্ষা করার জন্য গবেষকরা একটি আইসোলেশন কক্ষে খুব সতর্ক সহকারে ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়। এবং পাচদিনের মধ্যে ঐ ভবনের ৪৪ জায়গার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এবং দেখা যায় ৮৬ শতাংশ জায়গায় ভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে।
হাঁচি বা কাশির সময় নির্গত তরল থেকেও মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। গ্রেট অর্মন্ড স্ট্রিট হাসপাতালের এলেন ক্লাউটম্যান-গ্রিন বলেন। এবং একইভাবে যদি এই তরল কোন হাসপাতাল বা কোন জায়গায় পড়ে থাকে এবং কেউ এই জায়গার সংস্পর্শে এসে নাক, মুখ, বা চোখে স্পর্শ করে তবুও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।
তিনি আরো বলেন কিছু কঠোর পদক্ষেপের ফলে ভাইরাসে আক্রান্ত হবার হার অনেকটাই কমানো সম্ভব। যেমন ঘনঘন হাত ধোঁয়া, ভবনের ফ্লোর জীবানুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা, এবং সঠিকভাবে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) ব্যবহার করা।
এই গবেষণাতে বলা হয়েছে কত দ্রুত একটি হাসপাতালে ভাইরাস ছড়াতে পারে। কিন্তু কত দ্রুত একজন আক্রান্ত হতে পারে তা বলা হয়নি।